• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

হুমকির মুখে দেশের কৃষি

  • তরিকুল ইসলাম সুমন
  • প্রকাশিত ২৭ এপ্রিল ২০২৪

দেশে চলমান দাবদাহে অতিষ্ঠ মানুষ ও প্রাণিকুল। আক্রান্ত হচ্ছে হিটস্ট্রোকসহ নানা রোগে। এ সময়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের অভাবে সেচকাজে অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। বাড়ছে উৎপাদন খরচ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে কৃষি খাতে। এ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষক ও বিশেষজ্ঞরা।

খাদ্যের সংকট মোকাবিলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গরম বাতাসের প্রবাহে (হিটশক) সারাদেশে হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান আক্রান্ত হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যে জানা গেছে। এই হিটশকের কারণে উৎপাদন ১০ শতাংশ হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে এই বিপুল পরিমাণ ধানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ।

এ বিষয়ে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, যেসব জমির ধান মাত্রই বের হচ্ছে (ফ্লাওয়ারিং স্টেজ) অথবা ধানে চাল হচ্ছিল (মিল্কিং স্টেজ) সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ধানগুলো পুরোপুরিই চিটা হয়ে যাবে। বৃষ্টি হলে এই ক্ষতিটা হতো না, ফ্লাওয়ারিং স্টেজে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকা উচিত ২৫-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এখন বিভিন্ন অঞ্চলে ধারাবাহিক তাপমাত্রা ৩৪-৪০ ডিগ্রি বা কোথাও কোথাও তারও বেশি। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ধানের পরাগায়ন বাধাগ্রস্ত হয়। কিন্তু যদি এ সময়ে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে আসতো। এ কারণে অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ধানের পরাগায়নের কিছু অংশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ শরীরতত্ত্ব বিভাগ) ড. মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে বোরো ধান নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। হাওরাঞ্চল ছাড়া সারাদেশে এখন ফ্লাওয়ারিং স্টেজ চলছে, যা ধানের জন্য খুব নাজুক অবস্থা। পরাগায়নের সময়কাল ঠিক মতো হচ্ছে না। কারণ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে স্বাভাবিক পরাগায়ন হয়, তখন তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির ওপর চলে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তাপমাত্রার কারণে আরও একটা সমস্যা হচ্ছে। ধানের দানা গঠন ঠিক মতো হচ্ছে না। কারণ ধানগাছ দিনে খাদ্য তৈরি করে, যা রাতে ভেঙে ধানের দানা তৈরি করে। এটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ রাতের তাপমাত্রাও বেশি। যার কারণে ধানের পুষ্টতা (গ্রেইন ফিলিং) কম হচ্ছে। অর্থাৎ, ধানের খোসার ভেতরের কার্বোহাইড্রেড বীজ ছোট হচ্ছে। তাতে সামগ্রিক উৎপাদনে প্রভাব পড়বে। অর্থাৎ, কমে যাবে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, গরমের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টা আমাদের জন্য এক নতুন উপলব্ধি হয়ে আসছে। আমরা অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য নগরায়ন ও শিল্পায়ন করছি। কিন্তু এসব উন্নয়নকাজ অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষার দিকটি উপেক্ষা করে করা হয়। এর ফলে এখন দেখা যাচ্ছে, যে পরিমাণ উন্নতি হচ্ছে, তার একটি অংশ উল্টো অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ অবস্থায় ক্ষতি কমিয়ে আনতে পরিবেশ বান্ধব শিল্পায়নের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।

বছরব্যাপী ফল উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, দেশে চলমান দাবদাহের কারণে দেশে ফল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আর্দ্রতার কারণে ফলের বোটা এবং সংযোগস্থল শুকিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে ফলের গ্রোথ কমে যাচ্ছে। ফল ও ফুল ঝরে যাচ্ছে। তবে যেগুলো টিকবে তা আবার বৃষ্টি পেলে বড় হবে ওজনেও বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, এ দাবদাহ দীর্ঘমেয়াদে চললে দেশে ফলের আম, জাম ও লিচুর উৎপাদন ১২-১৫ শতাংশ কম হবে। ফলে বাড়বে দামও। এ সময়ে বাগানে পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। ফলগাছের গোড়া ঢেকে দিতে হবে যাতে করে গোড়া শুকিয়ে যেতে না পারে।

রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ অরিফুর রহমান বলেন, প্রতি বছর ২৪ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। এ বছর শীত যেতে সময় নিয়েছে এবং বৃষ্টি নেই বললেই চলে। এ কারণে প্রচণ্ড তাপে আম ঝরে যাচ্ছে। তবে ছোট বা খাটো গাছের ফলগুলো কম ঝরবে। বিশেষ করে বড় গাছের ফল বেশি ঝরছে। মাটির আর্দ্রতা না থাকার কারণে এটি হচ্ছে। যদি বাগানে সেচ দেওয়া যায় তাহলে ফল ঝরবে না। সঠিক আর্দ্রতার অভাবে লিচু ফেটে ও ফুল শুকিয়ে যেতে পারে। এ জন্য বাগানিকে অবশ্যই স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী সার ও সেচ দিতে হবে।

রাজশাহীর বাঘার আসগর নামে এক বাগানি জানান, তার প্রায় ২০০টি গাছ নিয়ে একটি বাগান রয়েছে। প্রচণ্ড গরমের গাছের অর্ধেক ফল পড়ে গেছে। জমিতে সেচ দিতে অনেক বেশি খরচ হচ্ছে। আম শেষ পর্যন্ত কতটা টিকবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। সারাদেশে একই অবস্থা হওয়ায় এ বছর ১০-১৫ শতাংশ আম কম উৎপাদন হবে। আর বাড়তি সেচের খরচ মিটাতে বেশি দামে বিক্রি করতে হবে আম।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারাদেশে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৫০ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে। যেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দুই কোটি ২২ লাখ ৫৬৪ টন। এখন পর্যন্ত বোরো কর্তন করা হয়েছে শুধু হাওরাঞ্চলে।

কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, কম বৃষ্টিপাতের প্রভাবে চরাঞ্চলের বোরো উৎপাদনে সেচের খরচ দেড়-দুইগুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। কারণ সেখানে খরার কারণে সেচও দিতে হয় বেশি। শুধু বোরো নয়, গম, ভুট্টা, সবজির আবাদেও চরাঞ্চলে অনেক বেশি সেচ দিতে হয়। যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টি হলে সেচের খরচ অর্থাৎ উৎপাদন খরচও কমে আসে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ঘোড়জান ইউনিয়নের কৃষক লালবানু বলেন. বৃষ্টি বেশি হলে সেচের খরচ কম হয়। বৃষ্টি না হলে বেশি সেচ দিতে হয়, খরচও পরে বেশি। আবার বেশি খরার মধ্যেও ফসল খারাপ হয়।

সিরাজগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ মিয়া বলেন, চরের জমিতে বোরোর চাষ হয় সামান্য। গম, ভুট্টা, সরিষা, সবজি, ফলসহ ডাল জাতীয় ফসলের চাষ বেশি হয়। এগুলোতে স্বাভাবিক বৃষ্টি হলে সেচও কম দিতে হয়। এবার উৎপাদন খরচ বাড়তে পারে।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কৃষিবিদ ড. সুরজিত সাহা বলেন, অনাবৃষ্টির প্রভাব সেচ নির্ভর বোরো মৌসুমের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলে না। তবে বৃষ্টি হলে স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদন খরচ কমে, তবে ফলের ওপর অনাবৃষ্টির প্রভাব প্রকট। মুকুল ঝড়ে যাওয়া, অপরিপক্ব অবস্থায় ফল ঝড়ে পড়া এবং ফলের আকার ছোট হয়ে যায়। গ্রীষ্মকালীন ফলের সবচেয়ে বড় জোগান আসে যে সময় তখন বৃষ্টি না হলে সামগ্রিক উৎপাদন বড় ধাক্কা খায়। বছরের এ সময় আম, কাঁঠাল, লিচু পেয়ারাসহ নানা ফলের বড় উৎপাদনের মৌসুম। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ব্যবহৃত হচ্ছে, বাড়ছে তাপমাত্রা।

যশোর কৃষি অধিদফতরের তথ্য মতে, যশোর জেলায় সবজি চাষ হয়েছে ১১ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে। সবজি চাষের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। এ দিকে যশোরে মোট ফলের চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩শ ৩০ হেক্টর।

বীরনারায়ণপুর গ্রামের কৃষক ইমন হোসেন জানান, এই তাপে সবজি হবে না। কয়েক দিন ধরে দেখছি তাপের কারণে উচ্ছে গাছ নেতিয়ে গেছে। মাঠের অনেক গাছ লাল হয়ে যাচ্ছে।

বাঘারপাড়া উপজেলার কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, এ গরমে জমিতে পানি দেওয়ার পরের দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চললে পানি দিয়ে পারা যাবে না। মাঠে কাজও করা যাচ্ছে না। দুপুরে উচ্ছে গাছ মনে হচ্ছে সব মরে গেছে।

সিতারামপুর গ্রামের ফল চাষি আব্দুস সাত্তার জানান, দেড় বিঘা জমিতে লিচুর চাষ রয়েছে। এ বছর মোটামুটি ভালোই ফুল ও ফল দেখা যায়। কিন্তু কয়েক দিন ধরে দেখছি লিচু ঝরে যাচ্ছে। কয়েকবার স্প্রে করলেও ঝরে পড়া বন্ধ হচ্ছে না। এ তাপে কোনো ফল গাছে থাকবে না। আম ও কাঁঠালও ঝরে পড়া শুরু করেছে।

অপর দিকে বর্তমান সময়ের দাবদাহ থেকে খাঁচায় বদ্ধ প্রাণীদের রক্ষায় অতিরিক্ত যত্নআত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম তালুকদার।

তিনি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে ৩৫-৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময়ে বেশি আক্রান্ত হয় মাংসাশী প্রাণী। পাখিদের মধ্যেও নানা সমস্যা দেখা দেয়। চিড়িয়াখানার প্রাণীদের এ দাবদাহ থেকে রক্ষার জন্য প্রতিটি শেডে ফ্যান ও পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, শেডের উপরে চট দেওয়া হয়েছে, যা দিনে ৪-৫ বার ভিজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন মিনারেল ওষুধ, স্যালাইন ও ভিটামিট সরবরাহ করা হচ্ছে। যতটা সম্ভব আর্দ্র সমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করা। এছাড়াও বৃহৎ মাংসাশী ও তৃণভোজী প্রাণীদের খাঁচায় (পানির হাউসে) পানির প্রবাহ বৃদ্ধি এবং পর্যাপ্ত কাঁচা ঘাস সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তাপ বৃদ্ধির কারণে ঘন লোমের কারণে প্রাণীদের শরীর থেকে তাপ বের হতে পারে না। ফলে হিটস্ট্রোক, পানি শূন্যতা, বমি, পাতলা পায়খানা দেখা দিতে পারে। এ জন্য প্রত্যেক জু অফিসারকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন প্রাণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরের হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। চিকিৎসার জন্য ডাক্তারদেরও সতর্ক রাখা হয়েছে।

চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে হুমকির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প। এ অবস্থা চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের সরবরাহে সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন খামারিরা। হিটওয়েভে প্রতিনিয়তই মারা যাচ্ছে মুরগি, অন্য দিকে ডিমের উৎপাদনও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।

ময়মনসিংহের ভালুকার শহিদুল শিকদারের ১৫০টি শেডে ব্রয়লার মুরগি আছে প্রায় ২ লাখ। প্রচণ্ড গরমে প্রতিদিনই দুই থেকে আড়াই হাজার মুরগি হিটস্ট্রোক করে মারা যাচ্ছে। বড় এই খামারির প্রায় ৮০ হাজার ডিম পারা লেয়ার মুরগি রয়েছে। অতি গরমে প্রতিদিনের ডিমের উৎপাদনও ৫ থেকে ৭ শতাংশ কমেছে বলে জানান তিনি।

খামারিরা বলছেন, ব্রয়লার মুরগির জন্য স্বাভাবিক সহনীয় তাপমাত্রা ২৪-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু সারাদেশে এখন দিনের তাপমাত্রা থাকছে ৩৮-৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এই অবস্থায় পর্যাপ্ত ফ্যান ব্যবহার করেও হিটস্ট্রোকের হাত থেকে মুরগিকে বাঁচানো যাচ্ছে না।

রাজশাহীর পবা উপজেলার জয়নুল আবেদীনের খামারে রয়েছে ১৪ হাজার মুরগি। গরমে মুরগি নিয়ে তিনি আতঙ্কে দিন পার করছেন। তার খামারে প্রতিদিন গড়ে ৭টি করে মুরগি হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গত শনিবার তিনি গ্রোথ টার্গেট পূরণ হওয়ার আগেই ৩ হাজার মুরগি বিক্রি করে দিয়েছেন।

প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, এক দিকে প্রান্তিক খামারিরা মুরগির বাচ্চা পাচ্ছে না করপোরেটদের থেকে। অন্য যারা আছেন, তাদেরও গরমে অবস্থা খারাপ, সারাদেশ থেকেই হিটস্ট্রোকে মুরগি মরে যাওয়ার খবর পাচ্ছি। সারাদেশে বর্তমানে পোল্ট্রি খামারির সংখ্যা ৬০ হাজারের মতো। প্রতিদিন ডিমের চাহিদা রয়েছে ৪ কোটি পিস, যেখানে স্বাভাবিক সময়ে উৎপাদন হয় চাহিদার চেয়ে বেশি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads